মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল কিভাবে যাওয়া যায়:  ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন যোগে মৌলভীবাজার জেলায় আসা যায়। চা-বাগান: মৌলভীবাজার জেল...

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল


কিভাবে যাওয়া যায়: 
ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন যোগে মৌলভীবাজার জেলায় আসা যায়।

চা-বাগান:

মৌলভীবাজার জেলার বিস্তৃত অঞ্চলে ছোট ছোট টিলা, পাহাড় ও সমতলে ৯২টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিটি চা বাগানে রয়েছে সবুজের সমাহার, অপরূপ সৌন্দর্য, বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি।

তথ্যসূত্র : জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার।


মাধবকুন্ড:

দেশের সর্ব বৃহৎজলপ্রপাত মাধবকৃন্ড। প্রায় ৮৩ মিটার উচু পাহাড়ের উপর থেকে জলরাশি অবিরাম ধারায় নিচে পড়ছে। বিরামহীন এই জলরাশি পতনের ফলে সৃষ্ট কুন্ডের প্রবাহ শান্ডির বারিধারার মতো।

অবস্থান : বড়লেখা উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে ৭২ কিলোমিটার।

রেষ্ট/গেষ্ট হাউস সুবিধা : জেলা পরিষদের বাংলো-০২টি, আবাসিক হোটেল-০২টি।

তথ্যসূত্র : পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার।


মাধবকুন্ড ইকোপার্ক:

সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন জুড়ী-২ রেঞ্জের বন বিটের মাধবকৃন্ড ইকোপার্ক স্থাপনের ফলে ইকো-ট্যুরিজমের নব দিগন্তের সূচনা হয়েছে। মাধকুন্ড জলপ্রপাত, বিশাল আকৃতির পাথর, বিরল প্রজাতির বৃক্ষরাজি, বাঘ, হরিণ, হাতি, হনুমান ইত্যাদি প্রাণীর পদচারণায় মুখরিত মাধবকুন্ড ইকোপার্ক দেশের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তর সিলেটের প্রথম ইকোপার্ক।

অবস্থান : বড়লেখা উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার।

রেষ্ট/গেষ্ট হাউস সুবিধা : জেলা পরিষদের বাংলো-০২টি, আবাসিক হোটেল-০২টি।

তথ্যসূত্র : বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, সিলেট।


বাইক্কাবিল

মাছ ও পাখির অভয়াশ্রম এ বাইক্কাবিল। ঢাকা থেকে ২০০ কিমি. উত্তর-পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত শহর শ্রীমঙ্গল। এ শহরের ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হাইল হাওর।এর পূর্ব দিকে ১০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ অভয়াশ্রমটি।মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএ ইডের সাহায্য এবং স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এ অভয়াশ্রমই ঐতিহাসিক ভাবে দেশীয় মাছের বংশ বিস্তারে প্রথম এলাকা।

  হাকালুকি হাওর

বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।এ হাওরের আয়তন প্রায় ২০,৪০০ হেক্টর।বর্ষাকালে বিস্তৃত জলরাশি এ হাওরের রূপ ঠিক যেন ভাসমান সাগর।আদিগন্তু বিস্তৃত জলরাশি।হাকালুকি হাওর মাছের জন্য প্রসিদ্ধ। হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সংরক্ষিত জলাভূমি।শীত মৌসুমে এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ২৫ প্রজাতির হাঁস এবং জল চর নানা পাখি পরিযায়ী হয়ে আসে।এছাড়া স্থানীয় প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি সারা বছর এখানে দেখা মেলে।এই হাওর অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। মৎসসম্পদ এবং জলজপ্রাণী-উদ্ভিদের জীববৈচিত্র্য এক কথায় আসাধারণ। হাকালুকি হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। চিতল, আইড়, বাউশ, পাবদা, মাগুর, শিং, কৈ প্রভৃতি মাছ এখানে রয়েছে।নভেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারি মাসের মাঝামাঝিময় হাওর ভ্রমণের জন্য সেরা। এসময় এখানে প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে চারদিক মুখর থাকে।


বর্ষি জোড়া ইকোপার্ক:


অবস্থান :মৌলভীবাজার সদর উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ০২ কিলোমিটার।

রেষ্ট/গেষ্ট হাউস সুবিধা : জেলা পরিষদের বাংলো-০১টি, আবাসিক হোটেল-১৫টি।

তথ্যসূত্র : বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট। সদর দপ্তর, মৌলভীবাজার এর প্রচারপত্র।


হযরত শাহ মোস্তফা (র:) এর মাজার শরীফ:

হযরত শাহজালাল (র:) এর অন্যতম অনুসারী হযরত শাহ মোস্তফা (র:) ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (র:) এর বংশধর ছিলেন। প্রায় সাতশত বছর আগে মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুর-এ বসতি স্থাপন করেন এবং এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেন। মৌলভীবাজার শহরের প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লা হযরত শাহ মোস্তফা (র:) এর বংশধর ছিলেন।।

তথ্যসূত্র : পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার।


বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ:

বীরশ্রেষ্ঠ্ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।

তথ্যসূত্র : পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার।


লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান:

কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জাতীয় উদ্যানে এখনও টিকে রয়েছে বেশ কিছু বিরল প্রজাতীর পশুপাখি, যাদের মধ্যে উল্লুক (গিবন) অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে হনুমান (ক্যাপড লেংগুর) লজ্জাবতী বানর (স্নো লোরিন), কুল বানর (পিগ টেইলড ম্যাকাও), কাঠবিড়ালী, হরিণ ইত্যাদি।

আয়তন : ১২৫০ হেক্টর,

অবস্থান : কমলগঞ্জ উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৩০ কিলোমিটার।

পর্যটন সুবিধা : বনবিভাগের একটি রেষ্ট হাউসসহ বিভিন্ন পাবলিক রেস্তোরা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পায়ে চলার ট্রেইল, ইকো-গাইড, তথ্য কেন্দ্র ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র : বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট। সদর দপ্তর,মৌলভীবাজার।


মাধবপুর চা বাগান ও লেক:

মাধবপুর চা বাগানের মধ্যে কৃত্রিমভাবে তৈরী মাধবপুর লেক। এ লেকে রয়েছে প্রচুর শাপলা ো পদ্ম ফুল। শীত মৌসুমে এ লেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির সমাগম হয়।

অবস্থান : কমলগঞ্জ উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৫০ কিলোমিটার।

পর্যটন সুবিধা : চা বাগানের নৈসর্গিক পরিবেশে লেকের পানিতে দেশী নৌকায় নৌবিহার করা যায়। লেকের চারিদিকে উচু টিলার উপর চা বাগানটি খুবই আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।


তথ্যসূত্র : পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার।



মনিপুরী পল্লী :

মনিপুরীদের অন্যতম আবাসস্থল আদমপুর ও মাধবপুর। পাহাড়-পর্বত এবং অরণ্য ভূমি নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী মানুষের মনকে যতটা আকৃষ্ট করে তার চেয়েও বেশী আকৃষ্ট করে মনিপুরীদেরজীবন প্রণালী।মনিপুরীদের রয়েছে উন্নত সংস্কৃতি। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে অগ্রহায়ণের শুরুতে মনিপুরী পল্লীতে বসে আকর্ষণীয় রাস মেলা। রাস মেলায় দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শণার্থী আসেন। দর্শণার্থীরা এ সময় ক্রয় করতে পারেন মনিপুরী শাল, চাদর, শাড়ী, সেলোয়ার-কামিজ, ব্যাগ, ফতুয়া, পঞ্জাবী ইত্যাদি। মাধবপুরে রয়েছে একটি মনিপুরী সাংস্কৃতিক একাডেমী।


অবস্থান : কমলগঞ্জ উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।


হাকালুকি হাওড়:

হাকালুকি হাওড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানির জলাভূমি। হাকালুকি হাওড় সিলেট এবং মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। এ হাওড়ে প্রচুর জলজ উদ্ভিদ এবং বিলুপ্ত প্রায় অনেজ মৎস্য প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অতিথি পাখীরা হাকালুকি হাওড়ে আসে খাদ্য ও আবাস স্থলের সন্ধানে।

তথ্যসূত্র : উপকূলীয় ও জলাভূমি জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর বুকলেট।


বিল ও হাওড়:

মৌলভীবাজার জেলার প্রখ্যাত চা সমৃদ্ধ শহর শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ের পূর্ব দিকের প্রায় ১০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলাভূমির নাম বাইক্কা বিল। ১ জুলাই ২০০৩ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিলটিকে মৎস্য সম্পদের একটি স্থায়ী অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিল মাছের জন্যেই শুধু নয়, উপরন্তু পাখি ও অন্যান্য অনেক প্রাণীর জন্যও একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থল। নয়নাভিরাম এ জলাভূমিতে হাজারো শাপলা আর পদ্ম ফুল ফোটে। বিলের বুনো বাসিন্দা আর শীতের অতিথিদের ভালোভাবে দেখার জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।


অবস্থান : শ্রীমঙ্গল উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার।


তথ্যসূত্র : MACH প্রকল্পের বুকলেট।


মনু ব্যারেজ:

১৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মনু নদী ৯৩ কিলোমিটার ভাতীয় এলাকা অতিক্রম করে এ জেলার গোবিন্দপুর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বন্যার প্রকোপ থেকে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও মৌলভীবাজার উপজেলার ৫৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষায় মনু ব্যারেজ তৈরী করা হয়। এ ব্যারেজে একটি খননকৃত লেক আছে যেখানে প্যাডেল বোটে পরিভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে।


অবস্থান : মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর এবং রাজনগরউপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে প্রায় ৩ কিলোমিটার।


তথ্যসূত্র : পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার।


বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট:

১৯৫৭ সালে পাকিস্তান চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান (পিটিআরআই) স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি পূর্নঙ্গ গবেষণা ইনষ্টিটিউট এ রূপান্তর করে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই)। এ ইনষ্টিটিউটটি চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের গর্ব। শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চায়ের গবেষণার মাধ্যমেতার অবস্থান সুসংহত করে আসছে।


অবস্থান : শ্রীমঙ্গল উপজেলা।

দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার।


তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।


অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী:

মনিপুরী ছাড়াও এ জেলায় রয়েছে অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। তন্মধ্যে খাসিয়া, সাঁওতাল, টিপরা উল্লেখযোগ্য। এ সকল নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য।


তথ্যসূত্র : পর্যটন সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার।


স্থানীয় লন্ডনী বাড়ি:

এছাড়াও স্থানীয় লন্ডনী বাড়িসহ রয়েছে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।

অবস্থান: 
মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ।

Related

মৌলভীবাজার 7764044467144809380
Seo Services

সিলেট

সিলেট উত্তর পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর। এটি সিলেট জেলার অন্তর্গত।

সুরমা নদীর তীরবর্তী এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপুর্ণ শহর।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত।

শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভাবে সিলেট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনি জেলা। wikipedia

সর্বমোট পাঠক

item