নাজিমগড় রিসোর্ট

https://sylhetviews24.blogspot.com/2016/06/blog-post_6.html
![]() |
নাজিমগড় রিসোর্ট |
সিলেটের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ চা বাগানের কার্পেট, মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত, জাফলংয়ে ভারত থেকে পাথর নিয়ে নেমে আসা নদী। দিনের বেলা এসব জায়গা ঘুরে এসে রাতটা যদি শহরের হইচইয়ের মধ্যে কোনো হোটেলে কাটাতে হয় তাহলে বেড়ানোর আমেজটাই নষ্ট হয়ে যায়। রাতটা হয়ে যায় আনন্দহীন শহুরে সময়।
তবে হইচইয়ের মধ্যেও সিলেট শহর থেকে সামান্য দূরে খাদিমনগরে এক নির্জন দ্বীপ গড়ে তুলেছে নাজিমগড় রিসোর্ট। তাদেরই ব্যবস্থাপনায় মেঘালয় সীমান্তে লালাখালে তৈরি হয়েছে পিকনিক স্পট। দিনের বেলা লালাখালে নৌকায় বেড়ানো কিংবা পাশের খাসিয়া পল্লী ঘুরে দেখা, হয়তোবা চা বাগানের সরু পথে হাঁটাহাঁটি করে বিকেল-সন্ধ্যায় নিরিবিলি সময় কাটানো। এক আদর্শ অবসর যাপন কেন্দ্র এ নাজিমগড় রিসোর্ট।
সিলেট শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। সিলেট-জাফলং মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত এই জমকালো রিসোর্টটি। প্রায় ৬ একর জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই দেশের অন্যতম সুন্দর এই রিসোর্টটি যেখানে রয়েছে প্রায় ২ শতাধীক লোকের খাওয়া দাওয়া সহ রাত্রিযাপনের সুবিধা। রিসোর্টটি সব বয়সীদের জন্যই উপযোগী।
পাহাড়ের ঢেউ দেখার দারুণ জায়গা এটি। ১৫টি কটেজ আছে এখানে। রয়েছে রেস্টুরেন্টের হরেক পদের খাবার। রিসোর্টে আছে বিশাল এক বাগান, সুইমিং পুল, পিকনিক ও ক্যাম্পিং স্পট। ঢাকা থেকে এত দুরে নুড়ি পাথরের রাজ্য জাফলংয়ে পাশে এমন একটি রিসোর্ট ভাবাই যায়না।
নদীতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিজস্ব স্প্রিডবোট। স্প্রিডবোটে চড়ে সারি নদী হয়ে লালাখাল ভ্রমণ- যে কোনো পর্যটকের জন্যই লোভনীয় অফার। লালখালে আবার রয়েছে নাজিমগড়ের আকর্ষনীয় রেস্টুরেন্ট, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ওপারের মেঘালয় পাহাড় দেখার জন্য পাহাড়ের উপরে ওয়াচ টাওয়ার।
রয়েছে বারবিকিউ পার্টি করার জন্য টেন্ট সাইট আর সারি নদীতে কায়াকিংয়ের (বিশেষ ধরণের ছোট নৌকা) ব্যবস্থা। নুড়ি পাথরের রাজ্য জাফলংয়েও নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে নাজিমগড়ের। নদীর ওপারে ঝুলন্ত সেতু, এপারে নাজিমগড়ের রেস্টুরেন্ট। পাশেই খাসিয়া পল্লী, পানের বরজ। নদীতে চলছে পাথর উত্তোলনের কাজ। এই সৌন্দর্য উপভোগ করা থেকে কে বঞ্চিত থাকতে চায়
নাজিমগড় রিসোর্টে থাকার জন্য আছে তিন ধরনের ব্যবস্থা। আছে বিশাল টেরেস, ছোট ছোট বাংলো ও বড় ভিলা। একেকটির ভাড়া একেক রকম, তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পাঁচতারা হোটেলের সমান। আছে স্পা ও পুল, যেখানে দূর করতে পারেন শরীরের অবসাদ।
সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি স্থাপনাই গাছপালা-জঙ্গলে ছাওয়া টিলার ধারে। ভিলা, টেরেস বা বাংলোর বারান্দায় বসে হাত বাড়ালেই যেন পাওয়া যায় গাছগাছালির ছোঁয়া।
সাধারণ হোটেল-কটেজের চেয়ে নাজিমগড়ে থাকার খরচটা একটু বেশিই মনে হবে। এক রাতের জন্য সবচেয়ে কমদামি ‘প্রিমিয়ার’ কক্ষের ভাড়া বেশি। এক কক্ষে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ জন, তবে ৮ বছরের নিচের শিশুর জন্য ভাড়া লাগবে না।
বিদেশের চেয়ে মোটেও কম কিছু নেই আমাদের। আমাদের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য বিদেশের বহু দর্শনীয় জায়গাকে হার মানাতে পারে। আপনার অবকাশ যাপনের দিনগুলো আনন্দময় কাটুক নাজিমগড় রিসোর্টে।
নাজিমগড়ে আগেভাগে বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভালো, বিশেষ করে প্যাকেজের বেলায়। এ জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ঢাকা ও সিলেটে; ফোন : ৮৮৫৩৮৫৭, (০৮২১) ২৮৭০৩৩৮, ২৮৭০৩৩৯, ০১৭৩০৭১২৬০০, ০১৭২৯০৯৭৮৪৯, ০১৯১৬২৭১৯৩৫, ০১৭৪৭২০০১০০।